প্রথম পর্ব: ঈমান বা আক্বীদা
- আল্লাহ্ সম্পর্কে আক্বীদা
- হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে আক্বীদা
- নবী রাসুলগণ সম্পর্কে আক্বীদা
- আসমানী কিতাব সম্পর্কে আক্বীদা
- ফেরেশতাগণ সম্পর্কে আক্বীদা
- তাক্বদীর সম্পর্কে আক্বীদা
- মৃত্যু ও তৎপরবর্তী বিষয়াবলী সম্পর্কে আক্বীদা
- কিয়ামত ও আখিরাত সম্পর্কে আক্বীদা
- ইমামত, খিলাফাত ও সাহাবাগণ সম্পর্কে আক্বীদা
- বেলায়াত সম্পর্কে আক্বীদা
- শিরক- এর আলোচনা
- কুফুর- এর আলোচনা
- বিদা‘আত- এর আলােচনা
- গুণাহ্ – এর আলােচনা
- ইসলামের বিভিন্ন দল – উপদল
- মাযহাব কি ও কেন?
ঈমান পরিচিতি
ঈমান ( اَلْاﮃْمَانُ ) শব্দটি ُأَمَنُ মূলধাতু হতে উদ্ভূত। ُأَمَنُ অর্থ, শান্তি বা নিরাপত্তা।যা মানুষকে দোযখের ভয়াবহ শাস্তি হতে নিরাপত্তা দান করে তাই ‘ঈমান’। ‘ঈমান’-এর আরো একটি অর্থ হল- اَلتَّصْدِيْقُ بِالْقَلْبِ (অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করা)। (ক্বাওয়াইদুল ফিক্বহ)
শরয়ী পরিভাষায় ‘ঈমান’ এর সংঙ্গা:
* ইমাম আ‘যম আবু হানিফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর মতে-
অর্থাৎ- ঈমান হচ্ছে (মুখের) স্বীকৃতি এবং (অন্তরের) সত্যায়ন। ( শারহু ফিক্বহিল্ আকবার)
* ইমাম গাযযালী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন-
অর্থাৎ – নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ইলাইহি ওয়া সাল্লাম যা নিয়ে এসেছেন, এ সকল বিয়যসহ নবী পাককে বিশ্বাস করার নামই ঈমান।
কারো কারো মতে – “অন্তরের সত্যায়ন, মৌখিক স্বীকৃতি এবং কার্যে পরিনত করার নাম ঈমান”। ‘মালাবুদ্দা মিনহু’ কিতাবে কাজী ছানাউল্লাহ পানিপথী রাহ্মাতুল্লাহি আলাইহি বলেন- “তবে বিশেষ অবস্হায় মৌখিক স্বীকার অপরিহার্য নয়”।
অতএব, উল্লেখিত আলোচনার দ্বারা স্পষ্ট হলো যে, ঈমান বলতে সত্যায়ন ও দৃঢ় বিশ্বাসকেই বুঝায়। এখন বুঝার বিষয় হলো, কি বিশ্বাস করাকে ঈমান বলে ? এ ব্যাপারে পূর্বে হাদীস শরীফের আলোকে বিশ্বাস করার বিষয়গুরলা আলোচনা করা হয়েছে।