"বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ওযেব সাইটের তথ্য ও উপাত্ত (পারের তরী) কিতাব থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।”

ইসলামই একমাত্র ধর্ম:

‘দ্বীন’ বা ধর্ম যা মানাুষকে শৃঙ্খলিত করে, সভ্য করে গড়ে তুলে এবং মুক্তির ব্যবস্থা করে অনন্ত সুখের স্থানে মানুষকে পৌছায়। আর সে দ্বীন কি? -এ ব্যাপারে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন- {অর্থাৎ-দ্বীন বা ধর্ম আল্লাহর নিকট ‘ইসলাম’। ( সূরা আলে ইমরান:-১৯ )}

সুতরাং একমত্র ‘দ্বীন’ ইলো ‘ইসলাম’। ইসলাম ছাড়া আর কোন ধর্মই আল্লাহ্ তা‘আলার মনোনীত নয়। এ ছাড়া অন্য কোন দ্বীনকে সহীহ্ হিসাবে মানা কিংবা গ্রহন করার অর্থ হল, কুরআন পাকের এই আয়াতকে অস্বীকার করা।কাজই ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম গ্রহনযোগ্য নয় এবং এর পরিনতি অনেক মন্দ।আল্লাহ্ তা‘আলা ফরমান- আর যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম …...

দ্বীনে মুহাম্মদী ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম )’র আগমনের পূর্বে অন্যান্য ধর্ম এবং ঐগুলোর বিধান:

আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন মানুষকে হিদায়াতের জন্য  প্রত্যেক যুগে এবং প্রত্যেক জাতীতেই পথ প্রদর্শক প্রেরণ করেছেন। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে-

( আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাসুল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহ্’র ইবাদত কর এবং তাগুত বা শয়তান থেকে নিরাপদ থাক। অতঃপর তাদের থেকে কিছু সংখ্যক রয়েছে, যাদের জন্য বিপদগামিতা অবধারিত হয়ে গেল।) (সূরা আন-নাহল: ৩৬) অন্যত্র এসেছে- প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য পথপ্রদর্শক হয়েছে। (সূরা রা‘দ: ৭)…..

ইসলাম ও বর্তমান প্রচলিত অন্যান্য ধর্ম:

মানুষ আল্লাহ্ তা‘আলার সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। আল্লাহ্ মানুষ সৃষ্টি করে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন স্বীয় প্রতিনিধিত্ব এবং তঁর বেন্দেগী করার জন্য। যুগে যুগে প্রেরণ করেছেন নবী রাসুলগণকে। তাঁরা প্রত্যেকেই মানুষদেরকে দাওয়াত দিয়েছেন মহান রবের একত্ববাদকে মেনে নেওয়ার জন্য। কিন্তু সময়ে সময়ে মানুষ হিয়েছে পথভ্রষ্ট, স্রষ্টা প্রদত্ত দ্বীন ‘ইসলা ’কে ছেড়ে রচনা করেছে মনগড়া নানাহ ধর্ম। তন্মধ্যে বর্তমান প্রচলিত রয়েছে হিন্দু, ইহুদী, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ প্রভৃতিসহ হাজারো ধর্ম। সুতরাং এ মানুষের মধ্যে কেউ জন্ম গ্রহন করে খ্রিষ্টান ঘরে, কেউ হিন্দু, ইহুদী বা অন্যান্য ধর্মালম্বীদের ঘরে, আর কেউ……

‘নাস্তিকতা’ হল, স্রষ্টার অস্তিত্বকে অস্বীকার করা। যারা স্রষ্টার অস্তিত্বকে অস্বীকার করে অর্থৎ সারা বিশ্বের একজন নিয়ন্ত্রক ও স্রষ্টা আছেন বলে বিশ্বাস করেন না, তাদেরকেই সাধারণত: নাস্তিক বা আরবীতে ‘মুলহিদ’ বলে। বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই হল আস্তিক তথা স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাসী। আর স্রষ্টার অস্তিত্বের বিষয়টি এতটাই সুস্পষ্ট যে, যে কোন সাধারণ ব্যাক্তিও তা জানে, অনুধাবন করে এবং সকল সৃষ্টির দিকে তাকালেই তা স্পষ্ট হয়ে  যায়। একজন বিশ্ব নিয়ন্ত্রক ছাড়া কি এ বিশ্ব এমনি-এমনিতেই এতা শৃ্ঙ্খলিত হয়ে চলছে ? কোন স্রষ্টা ছাড়া এমনিতেই সবকিছু সুষ্টি হয়ে গেছে ? কখনই নয় ! এ সাধারন কথাগুলো জানার জন্য বড় বড় ডিগ্রীধারী হতে হয় না। সাধারন একজন ব্যক্তিও তা অনায়াসে বলে দিতে পারে যে , এমনি এমনি কিছু……….

বিদায় হজ্জের ভাষণে মহানবী হযরত মোহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওযা সাল্লাম বলেছেন-

হে মানুষ ! আমি তোমাদের নিকট দুটি আলােকবর্তিকা রেখে যাচ্ছি।

যত দিন তোমরা এ দুটি অনুসরণ করবে, তত দিন তোমরা সত্য পথে থাকবে।

* একটি হল আল্লাহর কিতাব অপরটি হল আমার জীবন-দিষ্টান্ত ।

 

কুরআন:

কুরআন শব্দের অর্থ পড়া বা পাঠ করা  কুরআন হল সর্ব  স্রেষ্ট ও সর্ব  শেষ আসমানী কিতাব। 

হাদীস:

হাদীস হল হযরত মুহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহী  ওয়া সাল্লাম এর জীবন দিষ্টান্ত।

হাদিস শরীফে এসেছে-

ইসলামের  দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর ইবনুল্ খাত্তার রাদ্বিল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন-আমরা একদিন রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খেদমতে উপস্থিত ছিলাম, এমন সময় ধবধবে সাদা কাপড় পরিহিত এবং কুচকুচে কালো চুল বিশিষ্ট এক ব্যাক্তি আগমন করল। তাঁর মধ্যে সফরের কোন চিহ্ন দেখা যাচ্ছিল না। এমনকি আমাদের মধ্যে কেউ তাকে চেনেও না। এক পর্যয়ে সে নবী করীম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- এর নিকট বসল, লোকটি স্বীয় হাঁটুদ্বয় রাসূল কারীমের হাটুদ্বয়ের সাথে মিলিয়ে দিল এবং তাঁর দু‘হাত স্বীয় উরুর উপর রাখল।

অতঃপর বলল, হে মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! আমাকে ‘ইসলাম’ সম্পর্কে অবহিত করুন। রাসূল পাক সাল্লাল্লাহু ইলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন, ‘ইসলাম’ হলো- তুমি সাক্ষ্য দিবে যে,…….

তথ্য সূত্র ও কৃতজ্ঞতা  জ্ঞাপন:

পারের তরী

মুফতী নাজিরুল আমিন রেজভী হানাফী ক্বাদেরী 

মুফতী নাজিরুল আমিন রেজভী হানাফী ক্বাদেরী

Quran.com

Contact

admin@namazshikha.com

যোগাযোগ করুন: