দ্বীনে মুহাম্মদী ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম )’র আগমনের পূর্বে অন্যান্য ধর্ম এবং ঐগুলোর বিধান:
দ্বীনে মুহাম্মদী ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম )’র আগমনের পূর্বে অন্যান্য ধর্ম এবং ঐগুলোর বিধান:
আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন মানুষকে হিদায়াতের জন্য প্রত্যেক যুগে এবং প্রত্যেক জাতীতেই পথ প্রদর্শক প্রেরণ করেছেন। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে-
( আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাসুল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহ্’র ইবাদত কর এবং তাগুত বা শয়তান থেকে নিরাপদ থাক। অতঃপর তাদের থেকে কিছু সংখ্যক রয়েছে, যাদের জন্য বিপদগামিতা অবধারিত হয়ে গেল।) (সূরা আন-নাহল: ৩৬)অন্যত্র এসেছে- প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য পথপ্রদর্শক হয়েছে। (সূরা রা‘দ: ৭)
প্রত্যেক উম্মতের নবী-রাসূলগণের প্রচারিত ধর্মে মৌলিক কোন পার্থক্য ছিল না।কিন্তু প্রত্যেকের শরীয়ত ছিল ভিন্ন ভিন্ন। আল্লাহ্ পাক ফরমান-
আমি তোমাদের প্রত্যেকের জন্য শরীয়ত এবং স্পস্ট পথ ( তরীক্বত) নির্ধারণ করেছি। (সূরা মায়িদা: ৪৮)
হযরত আদম আলইহিস্ সালাম থেকে আরাম্ব করে হযরত ঈসা আলাইহিস্ সালাম পর্যন্ত সকল নবী-ই কোন-না কোন নির্দিষ্ট গোত্রের বা নির্দিষ্ট এলাকার নবী ছিলেন।কিন্তু আমাদের আক্বা নবী মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ্ সাাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সকল জাতির জন্য, সকল গোত্রের জন্য সর্বশেষ নবী; যা পরে কোন নবী বা রাসূল আগমন করেনি এবং করবেনও না।তাঁর আগমনে পূর্ববর্তী সমস্ত শরীয়ত রহিত হয়ে গেছে। অর্থাৎ হযরত ঈসা আলাইহিস্ সালাম কর্তৃক প্রচারিত ধর্ম হোক বা হযরত মূসা আলাইহিস্ সালাম কর্তৃক প্রচারিত ধর্ম, সবগুলোই দ্বীনে মুহাম্মদী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’র আগমনে রহিত হয়ে গেছে। এখন আর কেউ দ্বীনে মুহাম্মদী ব্যতীত অন্যকোন ধর্ম পালন করলে তা গ্রহন যোগ্য হবে না। তাই ইসলাম বলতে একমাএ নবী পাক মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- এর আনীত দ্বীনকে এবং মুসলিম বলতে উম্মাতে মুহাম্মদীকেই বুঝাবে।সুতরাং ইসলামের সংঙ্গা হবে-
* আল্লাহ্ তা‘আলার পক্ষ হতে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে আদর্শ ও বিধি-বিধান নিয়ে এসেছেন, যা অকাট্যভাবে প্রমাণিত, তা মনে প্রাণে বিশ্বাস করাকে ‘ইসলাম’ বলা হয়।( কাওয়াইদুল ফিক্বহ) আল্লাহ্ পাক ইরশাদ করেন-
* হে কিতাবিগণ ! তোমরা ঈমান আনো সে কিতাবের উপর ( কুরআন পাকের উপর ), যা আমি অবতীর্ণ করেছি তোমাদের জন্য ( পূর্বে নাযিলকৃত ) কিতাবের সত্যায়নকারী রূপে। ( সূরা নিসা: ৪৭) অনুরূপ হাদীস শরীফেও এসেছে-
* হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত , তিনি রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন – “ সেই সত্ত্বার কসম ! যার (কুদরতি) হাতে মুহাম্মদ-এর প্রাণ, যে কেউ আমার সম্পর্কে শুনে থাকে-হোক সে ইহুদী অথবা খিষ্টান, কিন্তু আমি যা নিয়ে এসেছি িএর উপর ঈমান আনা ছাড়াই মৃত্যুবরণ করলে, তাহলে সে জাহান্নমীদের একজন হবে।” ( মুসলিম শরীফ, কিতাবুল ঈমান )
অতএব, অন্যান্য সকল ধর্মকে ছেড়ে ইসলামের ছায়াতলে আসাই হল মু্ক্তির একমাএ পথ।
Thanks
Well come
NICE WEB SITE