সালাত বা নামাজ
সালাত বা নামাজ:
সালাত শব্দটি আরবি , এর ফারসী অনুবাদ ‘নামাজ ’। আর এ নামাজ শব্দটি উপমহাদেশে বেশি ব্যবহার হয়ে আসছে। যার অর্থ নির্দিষ্ট সময়ে , নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে আল্লাহর ইবাদত করা বুঝায়, আর আল্লাহ পাকের নির্ধারিত সময়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজকে ফরয করেছেন। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন-
নামাজ কায়েম কর, নিশ্চয নির্ধারিত সময়ে নামাজ (কায়েম করা ) মুমিনদের জন্য ফরজ (অবশ্য কর্তব্য )। (সূরা নিসা-১০৩)
আর এ নামাজ মি’রাজ রজনীতে উম্মতে মুহাম্মদী ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)’র জন্য মহান রবের পক্ষ হতে হুজুর পাকেকে দেওয়া বিশেষ উপহার এবং হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতের প্রতি লক্ষ করে ইরশাদ করেন- নামাজ ঈমানদারগনের জন্য মি’রাজ স্বরুপ।
হাদীস-১: হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত , তিনি বলেন- আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, একজন মুসলিমের এবং শিরক কুফরের মাঝে পার্থক্য হল- ‘নামাজ ছেড়ে দেয়া’ । (সহীহ মুসলিম)
হাদীস-২: হযরত নাওফাল ইবনে মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, হুজুর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- যার এক ওয়াক্ত নামায ছুটে গেল তার যেন ঘরবাড়ি, পরিবার ও ধনসম্পদ সবই কেড়ে নেওয়া হল”। (সহীহ ইবনে হিব্বান, নাসাঈ শরীফ)
হাদীস-৩: হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- “ যে ব্যক্তি শরীয়ত সম্মত উযর ব্যতীত দুই ওয়াক্ত নামাজ একসঙ্গে পড়ল, সে কবীরা গুনাহের মধ্য থেকে একটিতে প্রবেশ করল। ( মুসতাদরাকে হাকেম সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী )
হাদীস-৪: হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, একদিন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজের বিষয়ে উল্লেখ করে বলেন- “ যে ব্যক্তি নামাজের সংরক্ষণ বা ক্বায়েম করে, তার জন্য নামাজ কিয়ামতের দিন নূর হবে হিসাবের সময় দলীল হবে এবং নাজাতের উপায় হবে। আর যে ব্যক্তি নামাজের সংরক্ষণ বা ক্বায়েম করে না, কিয়ামতের দিন নামাজ তার জন্য নূর হবে না, আর তার নিকট কোন দলীলও থাকবে না এবং নাজাতের জন্য কোন উপায়ও হবে না। এমন ব্যক্তির হাশর হবে ফেরাআউন, হামান ও উবাই ইবনে খালফের সাথে। ( মুসনাদে আহমদ, সহীহ ইবনে হিব্বান )
নামাজ সম্পর্কিত জরুরী মাসাইল:
- ইচ্ছাকৃতভােবে নামাজ ত্যাগ করা ‘কবিরাহ্ গুনাহ্’ ।
- শরীয়ত স্বীকৃত ওযর ব্যতীত নামাজ ত্যাগকারী ‘ফাসিক’।
- কোন মুসলমান নামাযকে অস্বীকার করলে সে ‘কাফির’ ও মুরতাদ’ বলে গণ্য হবে।
- অনুরুপ যে ব্যক্তি নামাজের কোন রুকন যথা – কিয়াম, রুকূ, সিজদা, ইত্যাদি অথবা কোন শর্ত যথা- ওযু , ওয়াক্ত ইত্যাদি অস্বীকার করে সেও ‘কাফির’ ও ‘মুরতাদ’ বলে গন্য হবে।
- কেউ যদি নামাজকে অবজ্ঞা করে, হেয় বস্তু বলে ঠাট্টা উপহাস বা ব্যাঙ্গ বিদ্র্যপ করে সে ব্যক্তিও ‘কাফির’ ও ‘মুরতাদ’ হিসাবে গণ্য হবে। ( শামী ১ম খন্ড
নামাজের ওয়াক্তসমুহ:
পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের ওয়াক্তসমুহ: দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামাযের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে। নিম্নে তা আলোকপাত করা হল।
১.ফজরের নামাজের সময়সীমা: সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্য উদয় পর্যন্ত ফজরের নামাযের সময়, সূর্য উদিত হওয়ার আগে পূর্ব আকাশে সূর্যের উপরে যে আলো প্রকাশ পায় এবং যা ক্রমে বাড়তে থাকে, শেষ পর্যন্ত চতুর্দিক আলোকিত হয়ে যায়,তাকে সুবহে সাদিক বলেবা।(বাহারে শরীয়ত)
২.যুহরের নামাযের সময়সীমা: সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে গেলে যুহরের ওয়াক্ত শুরু হয়। আর এর শেষ সময় হল, কোন জিনিসের মূল ছায়া ব্যতীত ছায়াটি দ্বিগুন হওয়া পর্যন্ত। অর্থাৎ আট আঙ্গুল পরিমাণ একটি কাঠি ঠিক দ্বিপ্রহরের সময় ধরা হলে এর ছায়া এর ছায়া যদি চার আঙ্গুল পরিমাণ হয় তবে এ চার আঙ্গুল পরিমাণ ছায়া ব্যতীত ছায়াটি কাঠিটির দ্বিগুণ হবে তথা আট আঙ্গুল কাঠির দ্বিগুণ ছায়া গবে ষোল আঙ্গুল এবং মূল ছায়া হবে ৪ আঙ্গুল ছায়াটি মোট ২০ আঙ্গুল পরিমাণ লম্বা হওয়া পর্যন্ত যুহরের নামাযের সময়সীমা।
উল্লেখ্য যে, জুমু‘আর নামাজের ওয়াক্তও যোহরের নামাজের অনুরূপ।
৩ .আছরের নামাজের সময়সীমা: যুহরের ওয়াক্ত শেষ হবার সাথে সাথে আছরের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত বাকী থাকে । তবে সূর্য অস্ত যাওয়ার কিছুক্ষণ পূর্ব হতে আছর নামায পড়া মাকরুহ। বিশেষ জ্ঞাতব্য:আছরের সময় কমপক্ষে(দিন ছোট হলে) ১ঘন্টা ৬ মিনিট এবং বেশি হলে (দিন বড় হলে)১ ঘন্টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত হয়ে থাকে।
৪. মাগরিবের নামাযের সময়সীমা: সূর্য অস্ত যাওয়ার পর থেকে সাদা আভা দূর হয়ে যাওয়া পর্যন্ত মাগরিবের সময়। আর সাদা আভা পশ্চিম আকাশের লালিমা বিলুপ্ত হওয়ার পর উত্তর -দক্ষিনে বিস্তার লাভ করে। এ সময়টা কমপক্ষে ১ ঘন্টা ১৮ মিনিট বেশি হয়ে থাকে । ( বাহারে শরিয়ত)
৫. ইশার নামাযের সময়সীমা: মাগরিবের ওয়াক্তের পর থেকে সুবহে সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত ইশার নামাযের সময়। তবে উত্তম হলো, অর্ধ রাত্রির পূর্বেই পড়ে নেয়া। অর্ধ রাত্রির পরে পড়া মাকরুহ্। উল্লেখ্য যে. বিতরের নামায ইশার নামাযে পরে পড়তে হয়।
পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামাযের মুস্তাহাব সময়
১.ফজর: ফজরের নামায একটু দেরী করে পড়া মুস্তাহাব। অর্থাৎ সূর্যোদয়ের পূর্বে যেন কমপক্ষে ৪০ থেকে ৬০ আয়াত পর্যন্ত পড়া যায়।
২.যুহর: শীতকালে তারাতারি এবং গ্রীষ্মকালে দেরী করে পড়া মুস্তাহাব।
৩.আছর: শেষ ওয়াক্তে পড়া উত্তম তবে সূর্যের লাল রং ধারণ করার পূর্বে।
৪.মাগরিব: যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পড়েনেয়া মুস্তাহাব।
৫.ইশা:রাতের এক তৃতীয়াংশে আদায় করা মুস্তাহাব।
মহিলাদের ক্ষেত্রে:
মহিলাদের জন্য ফজরের নামায প্রথম ওয়াক্তে অর্থাৎ অন্ধকার থাকতে পড়া মুস্তাহাব।
এছাড়া অন্যান্য নামাজের ক্ষেত্রে উত্তম হল পুরুষদের জামা‘আত হয়ে গেলে তারা নামায আদায় করবে ৷ (বাহারে শরীয়ত)
নামাষের নিষিদ্ধ সময়: ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত, নফল, কাযা, তিলাওয়াতে সিজ্দা, সিজ্দায়ে সাহু অর্থাৎ সর্বপ্রকারের নামায নিম্নোক্ত তিনটি সময়ে পড়া হারাম। ১. সূর্য উঠার সময় I ২. ঠিক দ্বিপ্রহরের সময় I ৩. সূর্য ডুবার সময় I
জরুরী মাসআলা:
★ এ তিন সময়ে জানাযা নিয়ে আসলে তখনই পড়ে নেয়া বৈধ ৷ ★ তবে যদি এ তিন সময়ের পূর্বে জানাযা নিয়ে আসে এবং দরী করতে করতে এ নিষিদ্ধ সময়গুলো এসে যায় তবে মাকরূহ্ হবে। ★ অনিচ্ছাসত্ত্বেও যদি আছরের নামায পড়তে বিলম্ব হয়ে যায়, তবে তারাতারি কারে পড়ে নিতে হবে I তবে এ সময় পড়া মাকরূহ্ হবে ৷ ★ এ সময় কুরআন তিলাওয়াত করা উত্তম নয়।
নামাষের মাকরূহ্ সময়মসূহ:
১. ফজরের নামাষের পর সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত, অন্যকোন নামায পড়া ৷ ২. আছরের পর সূর্যঅস্ত যাওয়া পর্যন্ত অন্য কোন নামায পড়া। তবে এ দু’সময় কাযা নামায পড়া যাবে। ৩. সুবহে সাদিকের পর ফজরের দু’ রাক‘আত সুন্নাত ব্যতীত অন্য কোন নামায আদায় করা I 8. সূর্যাআস্তের পর মাগরিবের নামায আদায়ের পূর্বে অন্য কোন নামায আদায় করা। ৫. মধ্য রাতের পর ইশার নামায আদায় করা I যে সময় শুধু নফল নামায আদায় করা মাকরূহ্ :
১. জুমু‘আ, দুই ঈদ, বিবাহ বা হজ্জের খুৎবাহ্ দেয়ার সময়।
২. ফজরের নামাজের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত।
৩. আছরের নামাজের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত I
৪. ফজরের সময় ফজরের সুন্নাত ছাড়া অন্য কোন নফল নামায I
৫. জামা‘আত আরম্ভ হয়ে গেলে।
৬. ঈদের নামাজের পূর্বে ঘরে বা মাঠে।
৭. ঈদের নামাজের পর ঈদগাহে অর্থাৎ ঈদের মাঠে।
৮. আরাফাতের ময়দানে যুহর ও আছরের মাঝে এবং আছরের পরে। ৯. মুযদালিফায় মাগরিবের ও ইশার নামাষের মাঝে এবং পরে I
১০. মাগরিবের নামাজের পূর্বে।
ইক্বামাতের বাক্যসমূহ:
ইক্বামাতের বাক্যগুলোও আযানের বাক্যেও মতই, শুধু- ( হা‘ইয়্যা‘আলাল্ ফালা-হ‘) বলার পর ২বার- (ক্বাদ্ ক্বা-মাতিছ্ ছালা-হ্) অতিরিক্ত বলতে হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: ফজরের নামাজের ইক্বামাতে (আছ্ ছালা-তু খাইরুম্-মিনান্ নাও ম) বলতে হবেনা।
আযান ও ইক্বামাতের জবাব:
- মুয়ায্যিনের আযানের সাথে সাথে শ্রোতাগণও অনরূপ বলবে যেরূপ মুয়াযযিন বলে।
- তবে- (হাইয়্যা‘আলাছ্ ছালা-হ্) এবং (হাইয়্যা ’আলাল্ ফালা-হ্’) শুনে (লা-হ’ওলা ওয়া লা-কু’ও্য়্যাতা ইল্লা-বিল্লা-হ্) বলবে।
- ফজরের আজানে- (আছ্ ছালা-তু খাইরুম্- মিনান্ নাও ম) শুনে- (ছাদাক্বতা ও বা-রাকাতা) বলবে।
- ইক্বামাতের সময় মুয়াযযিন যখন-(ক্বাদ্ ক্বা-মাতিছ ছালা-হ্) বলবে, তখন শ্রোতাগণ পড়বে- (আক্বা-মাহাল্লা-হুওয়া আদা-মাহা- মা-দা-মাতিস্ সামা-ওয়া-তু ওয়াল্ র্আদ্ব) (মারাকিল ফলাহ্)
- যখন মুয়াযযিন- (আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লা-হ বলবে, তখন শ্রোতা (জবাব দেওয়ার পর পরই) দরূদ শরীফ পড়বে যেমন, -ছাল্লাল্ল্-হু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং মুস্তাহাব হ’েরা উভই হাতের বৃদ্ধাঙ্গুললীদ্বয় চুম্বন কবে চক্ষুতে লগাবে এবং বলবে (কুর্’রাতু ’আইনী বিকা ইয়া- রাসূলাল্লা-হি আল্লা-হুম্মাঁ মুত্তি’য়নী বিস্সাম্’ই ওয়াল্ বাছর)। (শামী, বাহাওে শরীয়ত)
জরুরী মাসাইল:
- ঋতুবর্তী মতিলা, খুত্বাহ্ শ্রবণকারী ব্যক্তি, জানাযা আদায়কারী, সহবাসে লিপ্ত ব্যক্তি অথবা প্রস্রাব-পয়খানায় নিয়োজিত ব্যক্তি আযানের জবাব দেবে না।
- আযান ও ইক্বামাতকালীন অবস্থায় সালাম, কখাবার্তা এমনকি কুরআন তেলাওয়াতও বন্ধ কওে মনযোগ সহকা রে শুনবে।
- কয়েকটি আযান শুনলে, এমতাবাস্থায় প্রথম আযানের উত্তর দেবে। তবে সবগুলোর জাবাব দেয়াটা উত্তম।
- নামাজের আযান ব্যতীত অন্যান্য আযানেরও জবাব দেয়া যাবে।
- মুক্তাদীদের জন্য খুত্বাহ্’র আযানের জবাব মুখে উচ্চারণ করে দেয়া জায়িয নয়।
আযানের মুনাজাত বা দু’আ: যখন আযান সমাপ্ত হবে, তখন মুয়ায্যিন ও শ্রোতাগণ দরূদ শরীফ পড়বে এবং দু’হাত তুলে এই দু’আটি পড়বে। হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-”যে ব্যক্তি আযানের শেষে দু’আ পড়বে, তাঁর জন্য কিয়ামতের আমি শাফা’আত করব।” (বুখারী, তিরমিযী,আবু দাউদ, নাসাঈ, তাবারানী: আওসাত)
দু‘আ : ইচ্চারণ: আল্লা-হুম্মাঁ রাব্বা হা-যি’হিদ্ দা‘ওয়াতিত্ তা’ম্মাঁতি ওয়াছ্ ছালা-তিল্ ক্বা’ইমাতি, আ-তি মুহাম্মাঁদানিল্ ওয়াসীলাতা ওয়া‘আত্তাহূ, ওর্য়াঝুক্বনা-শাফা-‘আতাহূ ইয়াও্মাল্ ক্বিয়া-মাহ। ইন্নাঁকা লা-তুখ্লিফুল্ মী‘আ‘দ। (ছগীরী,পৃষ্ঠা:১৯৮)
আযান ও ইক্বামাতের সুন্নাত সমূহ:
১.পবিত্র অবস্থায় কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে উচ্চস্বরে আযান ও ইক্বামাত দেওয়া। তবে আযানের তুলনায় ইক্বামাতের শব্দগুলো নিম্নশুরে উচ্চারণ করতে হবে।
২. আযানদাতা বালিগ, পুরুষ, সুস্থ মস্তিস্কের অধিকারী ও পরহেযগার হওয়া।
৩. উভয় কানের ভিতরে শাহাদাত আঙ্গুলী প্রবেশ করিয়ে আযান দেয়া।
৪. আযানের শব্দগুলো পৃথক এবং ইক্বামাতের শব্দগুলো মিলিয়ে উচ্চারণ করা।
৫. বাক্যগুলোর ধারাবাহিকতা রক্ষা করা।
৬. আযানের বাক্যগুলো উচ্চারণের পর শ্রোতাগণ জবাব দেয়ার মত সময় বিলম্ব করে অন্য বাক্য উচ্চারণ করা, এর অধিক বিলম্ব না করা।
৭.’আল্লাহু আকবার’ বলার সময় ‘রা’ ( ) বর্ণের সাকিন পড়া।
৮. গানের সুরে আযান ও ইক্বামাত না দেয়া।
৯. মাগরিবের ওয়াক্ত ছাড়া আন্যান্য সময়ে আযান ও ইক্বামাতের মধ্যে কিছু সময় বিরতি দেয়া।
১০. সকল ওয়াক্তে ( যথাসম্ভব ) একই ব্যক্তি আযান দেয়া।
১১. একই ব্যক্তি ( যথাসম্ভব ) একই মসজিদে আযান দেয়া।
১২. আযানদাতা নিজে ইক্বামাত বলা।
১৩. ছাওয়াবের নিয়্যতে আযান ও ইক্বামাত দেয়া।
১৪. ‘হাইয়্যা আলাস্ সালাহ্’ বলার সময় ডান দিকে এবং ‘ হাইয়্যা আলাল ফালাহ্ ‘ বলার সময় বাম দিকে মুখ ফিরিয়ে আযান দেওয়া।
মাশাল্লাহ্ অনেক সুন্দর একটি ওয়েব সাইট।
ধন্যবাদ আপনাকে,
আশা করি আমাদের সাথে থাকবেন।
অনেক কিছু শিখলাম অারো ভালো কিছু পাইতে চাই।
অনেক কিছু শিখলাম অারো ভালো কিছু পাইতে চাই সামনে
অনেক কিছু শিখলাম অারো ভালো কিছু পাইতে চাই সামনে