যাকাত
‘যাকাত’ (—) শব্দটি আরবী। এর আভিধানিক অর্থ হলো পবিত্রতা, বৃদ্ধি পাওয়া, বরকত লাভ করা, প্রশংসা করা ইত্যাদি । শরীয়তের পরিভাষায়-‘নিসাব পরিমাণ সম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ (শতকরা ২.৫০ টাকা হারে) যাকাতেৱ হকদার ব্যক্তিকে প্রদান করাকে যকাত বলা হয় ।”
যাকাতের ফযীলত ও গুরুত্ব
যাকাত আদায় করা করা
যাকাত ফরজ করা হয়েছে দ্বিতীয় হিজরীতে ৷ কুরআন, হাদীস ইজমা’র দ্বারা যাকাতের ফরয হওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত।
পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে-(—)
অর্থাৎ-তোমরা নামায কায়েম কর ও যাকাত আদায় কর, আর যারা রুকূ‘ করে তাঁদের সাথে রুকূ কর I (সূরা বাক্বারা: 8৩)
হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলইিহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ‘ করেছেন-(—)
অর্থাৎ-ইসলামকে পাঁচটি ভিত্তি বা উসূলের উপর স্থাপন করা হয়েছে:
১ . এ কথার সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য বা ইলাহ্ নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দাহ্ ও রাসূল ।
২. নামায কায়েম করা ।
৩. যাকাত প্রদান করা ।
8 . হজ্জ করা ।
৫. রমাদ্বান মাসের রোজা রাখা । (বুখারী ও মুসলিম)
# যাকাত ফরয হওয়ার ব্যপারে উম্মতে ‘ইজমা’ সংগঠিত হয়েছে । (ইিদায়া)
মাসআলা: যাকাতের বিধান অকাট্য দলীল দ্বারা ফরজ হিসেবে প্রমাণিত। এর ফরষিয়াত অস্বীকার করা ‘কুফুৰী’ ৷ শরীয়তে যাকাত অস্বীকারকাৰীর শাস্তি মৃত্যুদন্ড । নিসাৰ পরিমাণ সম্পদের উপর বছর অতিবাহিত হলে সাথে সাথে এর যাকাত আদায় করা ফরয’; বিনা কারনে বিলন্ব করলে গুনাহ্গার হবে ।
0 Comments